সম্প্রতি ট্রাম্পের প্রতিনিধিদল সৌদি আরবে ইউক্রেনীয়দের সাথে যে মাসব্যাপী ব্যাপক যুদ্ধবিরতি চুক্তি করেছে তাতে স্বাক্ষর করতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ইউক্রেনের সাথে বিদেশী সামরিক সাহায্য ও গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি বন্ধ হলেই কেবল একটি ব্যাপক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা এর আগে এই ধরনের শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।
মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, রোববার সৌদি আরবের জেদ্দায় ইউক্রেন নিয়ে মার্কিন আলোচনা অব্যাহত থাকবে। মঙ্গলবারের ট্রাম্প-পুতিনের ফোনালাপের ফলাফল এক সপ্তাহ আগে মার্কিন অবস্থান থেকে পিছু হটার সামিল, যদিও দুই নেতা একমত হয়েছেন যে মধ্যপ্রাচ্যে অবিলম্বে আরো শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
গত মঙ্গলবার জেদ্দায় একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল ইউক্রেনীয় দলের সাথে দেখা করে। সে সময় তারা কিয়েভকে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ‘অবিলম্বে’ ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হতে রাজি করায়।
মঙ্গলবার ট্রাম্প ও পুতিনের ফোনালাপ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে সরকারি সফরে পৌঁছান প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে তিনি বলেন, ইউক্রেন জ্বালানি অবকাঠামোর আওতায় যুদ্ধবিরতির ধারণার জন্য উন্মুক্ত। তবে প্রথমে তিনি আরো বিশদ জানতে চান। পরে তিনি রাশিয়ার ড্রোন হামলার পর পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যানের অভিযোগ করেন।
ইউক্রেনের নেতা বলেন, হামলা চালানো স্থানগুলোর মধ্যে সুমির একটি হাসপাতাল ও স্লোভিয়ানস্কের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাও রয়েছে।
জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, কিছু হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে বেসামরিক অবকাঠামোর উপর। আজ পুতিন কার্যকরভাবে পূর্ণ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।’
এর আগে, ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন, রাশিয়ান নেতার সাথে তার ফোনালাপ ‘খুব ভালো ও ফলপ্রসূ’ ছিল এবং শান্তি চুক্তির অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় বলেন, ‘আমরা সব জ্বালানি ও অবকাঠামোর ওপর তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছি। এই সমঝোতা নিয়ে আমরা দ্রুত একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি এবং শেষ পর্যন্ত রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এই ভয়াবহ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে কাজ করব।’
সূত্র : বিবিসি