মুসলিম শ্রমিককে হত্যা করায় হেফাজতের নিন্দা
- আপডেট সময় ০৬:২০:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
- / ১৯৬ বার পড়া হয়েছে
ফরিদপুরে এক মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিছক সন্দেহের বশে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় নৃশংসভাবে দুইজন মুসলিম শ্রমিককে হত্যা ও পাঁচজনকে আহত করেছে। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
শনিবার (২০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দেশ বাংলাদেশ। এ দেশের অধিবাসীদের ধর্মীয় বিশ্বাসে বৈচিত্র থাকলেও আবহমানকাল থেকেই নিজেদের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান আছে। কিন্ত গত পরশু ফরিদপুর জেলাধীন মধুখালীর এক মন্দিরে আগুনের ঘটনায় নিছক সন্দেহের বশে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় কর্তৃক নৃশংসভাবে দুইজন মুসলিম শ্রমিককে হত্যা ও পাঁচজনকে আহত করার জঘন্যতম ঘটনায় আমরা বাকরুদ্ধ। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নেতৃদ্বয় বলেন, ফরিদপুরের মধুখালী থানার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে গত পরশু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগুন লাগে। কিন্তু কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত জানা যায়নি। গত পরশু সন্ধ্যায় মন্দিরে প্রদীপ জ্বালানোর প্রায় ১০–১৫ মিনিটের মধ্যেই সেখানে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। তখন মন্দিরের পাশে নির্মাণাধীন বিদ্যালয়ে শুধুমাত্র সাতজন মুসলিম শ্রমিক ছিলেন। কিন্তু তাদেরকে কেউ আগুন দিতে দেখেনি বা তাদের আগুন দেওয়ার হীন উদ্দেশ্য থাকতে পারে এমন- সন্দেহ করার কোনো যৌক্তিক কারণ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপরও শুধুমাত্র সন্দেহের বশে স্থানীয় হিন্দু ধর্মালম্বীরা তাদের ওপর এই নিষ্ঠুর হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনা স্পষ্টতর সাম্প্রদায়িক উস্কানির শামিল।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, আমরা হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনায় যারপরনাই ব্যথিত ও হতবাক হয়েছি। যারা এই নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদের ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। সরকার যদি এক্ষেত্রে দ্রুত যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, আর এর ফলে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়; তাহলে সরকারকেই তার দায়ভার বহন করতে হবে।