সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ ও তার পরিবারের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
- আপডেট সময় ০৯:৫৬:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
- / ১২৯৯ বার পড়া হয়েছে
দুর্নীতির সঙ্গে ব্যাপক সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোরে) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বাইডেন প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তটি প্রকাশ করে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে জেনারেল আজিজ ও তার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
বিবৃতিতে স্পষ্ট করেই বলা হয়, জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো। এ দেশে সরকারি সেবা আরও স্বচ্ছ ও নাগরিকদের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর পথ প্রশস্ত হলো। সেই সঙ্গে ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মুদ্রা পাচার ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার বিষয়টি খোলাসা হলো।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে উদ্বৃত করে প্রচারিত বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যাপক দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে সাবেক জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে, পূর্বে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে আজিজ আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তার (আজিজ আহমেদ) কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণ আস্থাহীন হয়ে পড়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, আজিজ আহমেদ তার এক ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটা করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতি করেন। এছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য তিনি তার ভাইদের ঘনিষ্ঠভাবে সহায়তা করেন।
তিনি নিজের স্বার্থ তথা সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে বিরাট অঙ্কের ঘুষ নেন।
উল্লেখ্য, আজিজ আহমেদের মার্কিন ভিসা বাতিল নিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে গণমাধ্যমে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল।