ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬২ ডিগ্রি তাপমাত্রার দাবদাহে পুড়ছে ব্রাজি

ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখল দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৫১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৭০ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

 রিও ডি জেনেরিওতে সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর বলছে, মানুষ যে তাপ অনুভব করছে তার বিচারে তাপানুভূতি (ফিলস লাইক টেম্পারেচার) ৬২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে, যা ইতিহাসের সর্বোচ্চ। খবর দাবদাহের তীব্রতা থেকে থেকে বাঁচতে সমুদ্র সৈকত আর সুইমিং পুলে ছুটে যাচ্ছেন শহরের বাসিন্দারা। শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত গোসলের পানি পাচ্ছেন না অনেকে।

তীব্র দাবদাহের কারণে রিও ডি জেনেরিওতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজ ও বেশ কিছু অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

দেশটির আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শুধু আবহাওয়া অফিসের রেকর্ড করা তাপমাত্রা দিয়ে গরমের তীব্রতা বিচার করলে হবে না। এর সঙ্গে আদ্রতাসহ বেশ কিছু জিনিস বিবেচনায় নিতে হবে। সেসব জিনিস বিবেচনায় নিলে রিও ডি জেনেরিওর মানুষ এখন প্রায় সাড়ে ৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভব করছে। এটিকেই বলে ‘ফিলস লাইক টেম্পারেচার’।

ব্রাজিল আবহাওয়া অফিসের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আবহাওয়াবিদ রাকুয়েল কোরিয়ে বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বরে রিওতে ৫৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভূত হয়েছিল।’

অস্বাভাবিক মাত্রায় গরম বেড়ে যাওয়ার পেছনে নির্বিচারে গাছ কাটা, বন উজাড় করা, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা, রাস্তায় মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন বেড়ে যাওয়াকে দুষছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়াবিদ রাকুয়েল কোরিয়ে বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ যেভাবে জনসংখ্যা আবাসন বাড়ছে, বনভূমি উজাড় হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে তীব্র গরম–অতিবৃষ্টি–বন্যা–খরা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।’আল জাজিরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

৬২ ডিগ্রি তাপমাত্রার দাবদাহে পুড়ছে ব্রাজি

ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখল দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল

আপডেট সময় ০২:৫১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

 রিও ডি জেনেরিওতে সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর বলছে, মানুষ যে তাপ অনুভব করছে তার বিচারে তাপানুভূতি (ফিলস লাইক টেম্পারেচার) ৬২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে, যা ইতিহাসের সর্বোচ্চ। খবর দাবদাহের তীব্রতা থেকে থেকে বাঁচতে সমুদ্র সৈকত আর সুইমিং পুলে ছুটে যাচ্ছেন শহরের বাসিন্দারা। শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত গোসলের পানি পাচ্ছেন না অনেকে।

তীব্র দাবদাহের কারণে রিও ডি জেনেরিওতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজ ও বেশ কিছু অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

দেশটির আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শুধু আবহাওয়া অফিসের রেকর্ড করা তাপমাত্রা দিয়ে গরমের তীব্রতা বিচার করলে হবে না। এর সঙ্গে আদ্রতাসহ বেশ কিছু জিনিস বিবেচনায় নিতে হবে। সেসব জিনিস বিবেচনায় নিলে রিও ডি জেনেরিওর মানুষ এখন প্রায় সাড়ে ৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভব করছে। এটিকেই বলে ‘ফিলস লাইক টেম্পারেচার’।

ব্রাজিল আবহাওয়া অফিসের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আবহাওয়াবিদ রাকুয়েল কোরিয়ে বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বরে রিওতে ৫৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভূত হয়েছিল।’

অস্বাভাবিক মাত্রায় গরম বেড়ে যাওয়ার পেছনে নির্বিচারে গাছ কাটা, বন উজাড় করা, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা, রাস্তায় মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন বেড়ে যাওয়াকে দুষছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়াবিদ রাকুয়েল কোরিয়ে বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ যেভাবে জনসংখ্যা আবাসন বাড়ছে, বনভূমি উজাড় হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে তীব্র গরম–অতিবৃষ্টি–বন্যা–খরা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।’আল জাজিরা।