ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান বিজয়কে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে ফেনী শহরের পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টারের ডানহাম গলির একটি ঘর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী। গ্রেপ্তার ইকবাল হাসান বিজয় সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মনোহর আলী মিয়া বাড়ির আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে বাবুল এর ছেলে। তিনি চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, ফেনীর পূবালী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও রাজধানীর একটি নাট্য সংগঠনের হয়ে মঞ্চে অভিনয় করেন। ভুক্তভোগী টিকটকার সাদিয়া খান আদুরী ওরফে সিমরান সাদিয়া বলেন, ধর্ষণ, ভ্রুণ হত্যা ও মারধরের অভিযোগে বিজয়সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গত সোমবার বিকালে ফেনীর সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আশেকুর রহমানের আদালতে একটি মামলা (সিআর-৫৫৮/২৪) দায়ের করি।

ঢাকা থেকে জানতে পারি মঙ্গলবার বিকালে বিজয় ফেনী শহরের পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টারের ডানহাম গলির একটি ঘরে অবস্থান করছে। দ্রুত ফেনী এসে ওই ঘরের বাহির থেকে তালা লাগিয়ে দিয়ে পুলিশে খবর জানাই। ভুক্তভোগী শিমরান সাদিয়ার গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিসপুর হলেও তিনি বর্তমানে ঢাকার আফতাব নগরে বসবাস করছেন। সাদিয়া জনপ্রিয় টিকটকার ও মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন।

ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ এক যুবককে আটক করে। পরে তথ্য যাচাই করে দেখা যায় আটক ইকবাল হাসান বিজয়ের বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় মারামারির একটি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে।

ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সাদিয়া খান আদুরী ওরফে সিমরান সাদিয়ার ধর্ষণ, ভ্রুণ হত্যা ও মারধরের মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, আসামি বিজয়কে পুরোনো ওরারেন্টে আদালতে তুলে নতুন মামলায় গ্রেপ্তারের অনুমতি চাওয়া হবে। আদালতের আদেশে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফেনীর সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন বলেন, বিজয়ের বিরুদ্ধে আরও একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে একটি ঘটনা সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীও অবগত আছেন। বিজয়ের বিরুদ্ধে দ্রুত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে মনে করছি।

সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুর রহমান রাসেল বলেন, ইতিপূর্বে বিজয়কে শোকজ করে তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। আমরা জেলা ছাত্রলীগকে বিষয়টি অবগত করেছি। আশা করছি ২/১ দিনের মধ্যে বিজয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।