ঢাকা ০১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাতের ভোট ঠেকাতে উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ০৫:৩০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১০১ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেছেন, একটা কথা আছে যে, রাতে ভোট হয়ে যায়।

তাই এবার ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে। এই ভোট বাধাগ্রস্ত করতে একটা মহল নানা কর্মকাণ্ড করতে পারে। তাদের মোকাবিলার জন্য পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কেউ যেন কোনো ধরনের ব্যাগ কিংবা টিফিন ক্যারিয়ার নিয়ে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না পারে।

শনিবার সকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে প্যারেড ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, কোনো ভোটারকে কেউ কোনো বাধা দিতে পারবে না। ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নিজের মতো করে ভোট দিয়ে বের হবেন। মাঝখানে কেউ বাধা দিতে গেলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ওসিদের প্রতি নির্দেশ থাকল, ভোটকেন্দ্রে কেউ ফৌজদারি অপরাধ করলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।

তিনি বলেন, এর পাশাপাশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। অপরাধ বিবেচনায় তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচার করে সাজা দেবেন। তা না হলে থানায় মামলা হবে। আমরা বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দেব যে, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।

আরএমপির অধীনে এবার চারটি সংসদীয় এলাকা পড়েছে। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ২১৩টি। এর মধ্যে ২৪টি ছাড়া অন্য সব কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই ১২ জন করে আনসার সদস্য থাকবেন। আর সাধারণ ভোটকেন্দ্রে তিনজন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে চারজন করে পুলিশ সদস্য থাকবেন।

এ ছাড়া পুলিশের ৪৭টি মোবাইল টিম, ২০টি স্ট্রাইকিং টিম, কুইক রেসপন্স টিম, বোম ডিসপোজাল ইউনিট মাঠে থাকবে। এ ছাড়া র্যাবের চারটি দল, ৭ প্লাটুন বিজিবি, ৪ প্লাটুন আনসার ও ৬ প্লাটুন সেনাসদস্য টহলে থাকবে। মাঠে থাকবেন জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাতের ভোট ঠেকাতে উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ

আপডেট সময় ০৫:৩০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪

রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেছেন, একটা কথা আছে যে, রাতে ভোট হয়ে যায়।

তাই এবার ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে। এই ভোট বাধাগ্রস্ত করতে একটা মহল নানা কর্মকাণ্ড করতে পারে। তাদের মোকাবিলার জন্য পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কেউ যেন কোনো ধরনের ব্যাগ কিংবা টিফিন ক্যারিয়ার নিয়ে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না পারে।

শনিবার সকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে প্যারেড ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, কোনো ভোটারকে কেউ কোনো বাধা দিতে পারবে না। ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নিজের মতো করে ভোট দিয়ে বের হবেন। মাঝখানে কেউ বাধা দিতে গেলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ওসিদের প্রতি নির্দেশ থাকল, ভোটকেন্দ্রে কেউ ফৌজদারি অপরাধ করলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।

তিনি বলেন, এর পাশাপাশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। অপরাধ বিবেচনায় তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচার করে সাজা দেবেন। তা না হলে থানায় মামলা হবে। আমরা বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দেব যে, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।

আরএমপির অধীনে এবার চারটি সংসদীয় এলাকা পড়েছে। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ২১৩টি। এর মধ্যে ২৪টি ছাড়া অন্য সব কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই ১২ জন করে আনসার সদস্য থাকবেন। আর সাধারণ ভোটকেন্দ্রে তিনজন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে চারজন করে পুলিশ সদস্য থাকবেন।

এ ছাড়া পুলিশের ৪৭টি মোবাইল টিম, ২০টি স্ট্রাইকিং টিম, কুইক রেসপন্স টিম, বোম ডিসপোজাল ইউনিট মাঠে থাকবে। এ ছাড়া র্যাবের চারটি দল, ৭ প্লাটুন বিজিবি, ৪ প্লাটুন আনসার ও ৬ প্লাটুন সেনাসদস্য টহলে থাকবে। মাঠে থাকবেন জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও।