এ সময় কুয়েট প্রশাসনের বিতর্কিত ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে মামলার অবিলম্বে প্রত্যাহার, প্রকৃত দোষীদের শাস্তি এবং প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বুয়েটের শিক্ষার্থী বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে কুয়েট ক্যাম্পাসে বিএনপিপন্থী ও ছাত্রদল সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীদের হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। হামলার প্রকৃত তদন্ত শেষ না হতেই দুই মাস পর কুয়েট প্রশাসনের সহযোগিতায় আন্দোলনে অংশ নেয়া নিরীহ ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়।
যেটি সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত বলে অভিহিত করেছেন। এ মামলা কেবল ২২ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নয়, এটি দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অধিকার হরণের চেষ্টা। রাজনৈতিক স্বার্থে শিক্ষাঙ্গনের নিরীহ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের দমন কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, মামলার পাশাপাশি আন্দোলন দমন করতে প্রশাসন একের পর এক দমনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হল বন্ধ ঘোষণা, বিদ্যুৎ-পানি-ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক হল ছাড়তে বাধ্য করা, ঈদের সময় বহিরাগতদের প্রবেশের সুযোগ দেয়া হলেও শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে না দেয়া এবং আন্দোলনকারীদের ওপর অপপ্রচার চালানো। প্রশাসনের এমন অমানবিক আচরণের ফলে অনেক শিক্ষার্থীকে রাতের আঁধারে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করতে হয়েছে। যেটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সোমবার (১৪ এপ্রিল) কুয়েট সিন্ডিকেট ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের দমন করতে গৃহীত অন্যায় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি আমরা।
সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা বলেন, আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, আমরা কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। প্রশাসনের সদর্থক পদক্ষেপ না এলে ছাত্রসমাজ বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবো।