ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ জন আইনজীবীর পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল

খেলার সময় কনডমের বিজ্ঞাপন বন্ধে দুই টিভি চ্যানেলকে লিগ্যাল নোটিশ

নিউজ ডেস্ক:-
  • আপডেট সময় ০৩:৫১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি- সংগৃহিত

বিশ্বকাপ খেলা চলাকালে কনডমের বিজ্ঞাপন বন্ধে খেলা প্রচারকারী টি-স্পোর্টস ও জিটিভিকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির দশ সদস্য।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) টি-স্পোর্টসের সিইও ইশতিয়াক সাদিক ও জিটিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আমান আশরাফ ফায়েজকে ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল।

লিগ্যাল নোটিশ বলা হয়েছে, বর্তমান সময় আপনারা নোটিশ গ্রহীতাদের প্রচারিত কিছু অপ্রীতিকর বিজ্ঞাপন আমাদের পরিবারসহ খেলা দেখায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবারসহ অথবা অফিস কর্মী বা ছোট-বড় সকল বয়সের খেলাপ্রেমীরা মিলে খেলা দেখছি অথবা বিশেষ করে বাংলাদেশের খেলা বা বিশ্বকাপ খেলা দেখার জন্য খেলাপ্রেমীরা স্কুল মাঠে বা যেকোন খোলা ময়দানে বড় প্রজেক্টরে খেলা উপভোগ করি। কিন্তু হঠাৎ কনডমের বিজ্ঞাপন, যেখানে দেশি-বিদেশি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অশালীন শরীর সমাচার। যা আমাদের চরম ভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়, যাহা খুবই দুঃখ জনক ও আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য হুমকী স্বরুপ বটে।

নোটিশে বলা হয়েছে,আমরা বাঙালি জাতি এবং আমাদের একটা বাঙালি সংস্কৃতি রয়েছে, এমনকি আমাদের দেশে সংখ্যা গরিষ্ঠ জনগন ইসলাম ধর্মাবলম্বীস। বিদেশি সংস্কৃতির অপপ্রয়োগ আমাদের থেকে শুরু করে আমাদের পারিবারিক ব্যবস্থাপনার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলাফল স্বরূপ ক্রিকেট সহ অন্যান্য জনপ্রিয় খেলা হওয়া সত্ত্বেও পরিবারসহ দেখতে আমাদেরই ইতস্ততাবোধ হয়। ভয় হয় কখন এমন বিজ্ঞাপন চোখের সামনে চলে আসে যা দেখার পর পিতা-মাতার সাথে সন্তানের, ভাইয়ের সাথে বোনের চোখ মিলাতে কষ্ট হয়। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা বিরোধী। যা আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

লিগ্যাল নোটিশে আরো বলা হয়- কনডমের বিজ্ঞাপন আমাদের ক্রিকেটপ্রেমীদের অপূরণীয় ক্ষতি সাধনসহ বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য চরম মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সুতরাং ওই বিজ্ঞাপনগুলো বাতিলের মাধ্যমে ক্রিড়াপ্রেমীদের ইচ্ছাপূরণে আপনাকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় উপরোল্লিখিত আইন ভঙ্গ ও সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে আপনি এবং আপনার প্রতিষ্ঠানকে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ করা গেল। অন্যথায় আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

১০ জন আইনজীবীর পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল

খেলার সময় কনডমের বিজ্ঞাপন বন্ধে দুই টিভি চ্যানেলকে লিগ্যাল নোটিশ

আপডেট সময় ০৩:৫১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

বিশ্বকাপ খেলা চলাকালে কনডমের বিজ্ঞাপন বন্ধে খেলা প্রচারকারী টি-স্পোর্টস ও জিটিভিকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির দশ সদস্য।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) টি-স্পোর্টসের সিইও ইশতিয়াক সাদিক ও জিটিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আমান আশরাফ ফায়েজকে ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল।

লিগ্যাল নোটিশ বলা হয়েছে, বর্তমান সময় আপনারা নোটিশ গ্রহীতাদের প্রচারিত কিছু অপ্রীতিকর বিজ্ঞাপন আমাদের পরিবারসহ খেলা দেখায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবারসহ অথবা অফিস কর্মী বা ছোট-বড় সকল বয়সের খেলাপ্রেমীরা মিলে খেলা দেখছি অথবা বিশেষ করে বাংলাদেশের খেলা বা বিশ্বকাপ খেলা দেখার জন্য খেলাপ্রেমীরা স্কুল মাঠে বা যেকোন খোলা ময়দানে বড় প্রজেক্টরে খেলা উপভোগ করি। কিন্তু হঠাৎ কনডমের বিজ্ঞাপন, যেখানে দেশি-বিদেশি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অশালীন শরীর সমাচার। যা আমাদের চরম ভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়, যাহা খুবই দুঃখ জনক ও আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য হুমকী স্বরুপ বটে।

নোটিশে বলা হয়েছে,আমরা বাঙালি জাতি এবং আমাদের একটা বাঙালি সংস্কৃতি রয়েছে, এমনকি আমাদের দেশে সংখ্যা গরিষ্ঠ জনগন ইসলাম ধর্মাবলম্বীস। বিদেশি সংস্কৃতির অপপ্রয়োগ আমাদের থেকে শুরু করে আমাদের পারিবারিক ব্যবস্থাপনার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলাফল স্বরূপ ক্রিকেট সহ অন্যান্য জনপ্রিয় খেলা হওয়া সত্ত্বেও পরিবারসহ দেখতে আমাদেরই ইতস্ততাবোধ হয়। ভয় হয় কখন এমন বিজ্ঞাপন চোখের সামনে চলে আসে যা দেখার পর পিতা-মাতার সাথে সন্তানের, ভাইয়ের সাথে বোনের চোখ মিলাতে কষ্ট হয়। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা বিরোধী। যা আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

লিগ্যাল নোটিশে আরো বলা হয়- কনডমের বিজ্ঞাপন আমাদের ক্রিকেটপ্রেমীদের অপূরণীয় ক্ষতি সাধনসহ বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য চরম মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সুতরাং ওই বিজ্ঞাপনগুলো বাতিলের মাধ্যমে ক্রিড়াপ্রেমীদের ইচ্ছাপূরণে আপনাকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় উপরোল্লিখিত আইন ভঙ্গ ও সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে আপনি এবং আপনার প্রতিষ্ঠানকে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ করা গেল। অন্যথায় আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।